মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মাহতাব রহমান।
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহত ২ শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
চোখের জল ও ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানাল মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্তে নিহত শিক্ষার্থী উক্য চিং মারমাকে।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে থাকা ছয় মরদেহ বা দেহাবশেষ থেকে ১১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৪ জন ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে ৮ জন ক্রিটিকাল, ১৩ জন সিভিয়ার এবং ২৩ জন ইন্টারমিডিয়েট পর্যায়ে রয়েছে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, হাসিনার আমলে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে, সেগুলোর তদন্ত করা উচিত। এ বিমানগুলো হাসিনার আমলে কেনা।
মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে নিহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
বিমান বিধ্বস্তের সেই বিভীষিকাময় পরিস্থিতির কথা বিবিসি বাংলার কাছে তুলে ধরেন মাইলস্টোনের শিক্ষক নাসির উদ্দিন।
বেবিচকের ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন বিভাগের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. আহসান হাবীবকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বর্তমানে শুধু কলেজের নির্দিষ্ট কিছু কর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরই ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
ছয় সদস্যের এই কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
যমজ বোন সারিনার শরীর ২০ শতাংশ ও সাইবা জাহানের শরীর ৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
বিমানবন্দরে চিকিৎসক ডা. চোং সি জ্যাককে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা গ্রহণ করেন।
আহত ১৬৫ জনের মধ্যে অনেকের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। বেশিরভাগই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পরিচয় শনাক্ত না হওয়া ৬ জনের মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) মর্গে রাখা হয়েছে।
বিমান দুর্ঘটনায় আহত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাসুকা সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খালাতো ভাই মহিদুর রহমান চৌধুরী ও ছাদেরা চৌধুরী দম্পতির মেয়ে।
ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে তার মরদেহের সন্ধান মিলেছে।
ছেলেকে পাওয়া গেলেও মাকে এখনো পাওয়া যায়নি।
মাত্র ৯ বছর বয়সে বিমান দুর্ঘটনায় ঝলসে গেল তার স্বপ্ন।
দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্রে অভিভাবকের মোবাইল নম্বর ও রক্তের গ্রুপ সংযুক্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি যোগ দেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে উক্য চিং মারমার দাদা কংহলাপ্রু মারমা (৭৫) বলেন, ‘কখনো ভাবিনি নাতিকে এভাবে হারাব।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সায়মা আক্তার (৯)।
স্বজনদের বুকফাটা আর্তনাদ আর আহাজারিতে চারদিকের আকাশ ভারি।
দূতাবাস জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তারা বলছেন, আমরা খবর শুনেছি আমাদের বাচ্চারা আহত হয়েছে, তাদের প্রচুর রক্ত দরকার। বাচ্চারা কষ্ট পাচ্ছে।
রাইসা মনি ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী, কোড- ২০১০, সেকশন-স্কাই।
ফিউনারেল প্যারেড হলো সামরিক বা আনুষ্ঠানিক বিদায় সংবর্ধনা। সাধারণত কোনো সামরিক কর্মকর্তার মৃত্যুর পর এটি অনুষ্ঠিত হয়।
ডাক্তার, হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কিছু সংখ্যক রোগীর স্বজন ছাড়া কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত চীনের তৈরি এই যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরার ওই স্কুল ভবনে আছড়ে পড়েছিল।
দূতাবাস গুলো নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও আহতদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছে।
আহত ও নিহতদের জন্য দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে একজনের দেহাবশেষ রয়েছে, যাকে শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।
প্রতিদিনের ন্যায় দুর্ঘটনার ঘটনার সময় স্কুল থেকে ঝুমঝুমকে আনতে গেলে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মৃত্যু হয় রজনী খাতুনের।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নিহতদের সঠিক সংখ্যা শতাধিক হলেও এর সঠিক তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না।
কেউ কেউ মেঝেতে বসে কাঁদছেন, কেউ আবার হতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কারো মুখের দিকেই তাকানো যাচ্ছে না।
দিনের বিচারকাজের শুরুতে হাইকোর্টকেও এক মিনিট নিরবতা পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
শোকবার্তায় নিহতদের পরিবার, বন্ধু এবং আহত সবার প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।
এই নির্মম ঘটনার শিকারদের অধিকাংশই শিশু।
এ ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।
এতে এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হয়েছে। দগ্ধ হয়েছে অন্তত ২০০ জন।
আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলটসহ ২০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৭১ জন।
তিনি দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় ১৯ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১৬৪ জন।
এক শোক বার্তায় শাহবাজ শরীফ বলেন, ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক প্রাণহানিতে আমি গভীরভাবে শোকাহত।
আহত বা দগ্ধ অবস্থায় যাদের আনা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগের বয়স ছিল ১০ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।
আহত এক শিক্ষক বলেন, ‘এটা ঠিক স্কুল ছুটির সময় ছিল। শিক্ষার্থীরা গেটে অপেক্ষা করছিল।’